১৯মে ২০২৩ ইং। মৌলভীবাজার ওপেন স্কাউট গ্রুুপের সিনিয়র, জুনিয়র রোভার এবং গার্ল-ইন-রোভার’র সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত ঘুরি ঘুরি বৃষ্টির মধ্যে একঝাঁক রোভার এবং গার্ল -ইন-রোভার নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বুনোপাহাড়ের ১৫০ ফুট উচ্চতার হামহাম জলপ্রপাতে এডভেঞ্চার ক্যাম্প ২০২৩ এর উদ্দেশ্যে।
সকাল ৮ টায় যাত্রা শুরু ৪০জন রোভার এবং গার্ল-ইন-রোভার নিয়ে। উঁচুনিচু পাহাড় ডিঙিয়ে একটি মাত্র বাঁশের খুঁটিতে ভর করে পার করেছে কতশত বাঁধা সেই একঝাঁক তরুণ স্কাউট।
সর্বোচ্চ, ৯০০ ফুট উচ্চতার পাহাড়িয়া টিলাসহ আরো প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ফুট উচ্চতার পাহাড়িয়া টিলা। পাহাড়ী নদী, আঁকাবাঁকা রাস্তা, প্রায় ৭টির মতো পাহাড় হাইকিং করার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে পৌঁছায় কাঙ্ক্ষিত জলপ্রপাতে।
পৌঁছানোর পরেও ক্লান্ত হয়নি স্কাউটস্ সদস্যরা।সেখানে তাদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেয়া হয় নানান চ্যালেঞ্জ এবং তারা চ্যালেঞ্জ গুলো গ্রহণ করে জয়ীও হয় সগৌরবে।
ক্যাম্পের সবথেকে আকর্ষণীয় চ্যালেঞ্জ ছিলো রান্নার সরঞ্জামাদি ছাড়া মোরগ রান্না করা। প্রতিটি উপদলই পূর্বের ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতা থেকে রান্না করে ফেলে।
এডভেঞ্চার ক্যাম্পগুলোর আয়োজন করা হয় মূলত স্কাউটরা যাতে অজানাকে জানতে পারে, অদেখাকে দেখার চেষ্টা এবং প্রতিটা স্কাউট যাতে করে আতংকিত মূহূর্তে নিজের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সহজেই অতিক্রম করার দীক্ষা লাভ করে।
আর.এস.এল বদরুল হোসেন স্যার বলেন, হাতে কলমে শিক্ষার জন্য এডভেঞ্চার ক্যাম্পের জুড়ি বরাবরই প্রশংসনীয়। প্রতিবছর চেষ্টা করি রোভারদের এই অভিজ্ঞতা অর্জন করানোর। প্রতিটি উপদলই ক্লান্ত শরীর নিয়ে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে আমাকে আরো অবাক করে দিয়েছে।
সারাদিনের ক্লান্তি ঝেড়ে হিমশীতল ঝর্ণার পানিতে আনন্দ উল্লাস করে স্কাউটরা ফিরে আসেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
কামরান/নওমী