মানব জীবন যদি প্রথম থেকে শেষ অবধি এক এক করে অনুধাবন করা হয় তবে প্রথমেই যে মানুষটার অবদান থাকবে তিনি হলেন মা। যে মানুষটার কোনো তুলনা হয়না আর হবেও না। সবাই ভুল বুঝে, রাগ দেখালে দূরে সরে যায়, তবে মা একজন ই যিনি রাগের বিষয় বুঝার চেষ্টা করেন, মন ভালো খারাপ বুঝার চেষ্টা করেন!
জর্জ ওয়াশিংটন বলেছেন- “আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার মা। মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনের সমস্ত অর্জন তারই কাছ থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর শারিরীক শিক্ষার ফল।”
পৃথিবীতে সবচেয়ে নিজের বলতে যে হয় তিনি হলেন ‘মা’। স্নিগ্ধ একটা রূপ, মায়ের মধ্যেই আছে।
“মা” এই শব্দটা অনেক ছোট, কিন্তু এর গভীরতা বুঝতে হলে আমাদের বুঝতে হবে মাতৃত্ব। সন্তানের সব কষ্ট, দুঃখ কিংবা অভিমান সব কিছুর এক আশ্চর্যজনক ঔষধ হচ্ছেন মা।
আপনাকেই বলছি, হ্যাঁ আপনিই, আপনি যদি এই মূহুর্তে হতাশায় ভোগেন, তবে এখনই আপনার মা কে জড়িয়ে ধরুন, হয়তো আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন কি হয়েছে কিংবা হঠাৎ জড়িয়ে ধরছেন কেনো?
তবে বিশ্বাস করুন আপনার হতাশা যেন মূহুর্তের মধ্যে নাই হয়ে যাবে!
আপনি হবেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী। এক শান্তি ছুঁয়ে যাবে আপনার হৃদয়ে। মনে হবে বেহেশতে আছেন৷
এক সাগর মমতায় মাখা প্রতিটা শব্দে, প্রতিটা শাসনে, প্রতিটা চুমুতে মায়ের অস্তিত্ব ছুঁয়ে যায়, নাড়া দিতে থাকে হৃদয়ে।
মায়ের নীরব মায়া স্মৃতি হয়ে খেলা করে হৃদয়ে, একটা যেন অক্সিজেন, বুক ভরে শ্বাস নেই, উজার করে ভালোবাসি, গৃহের শুদ্ধতায় বেড়ে উঠি, গোধূলির আলোর মতো আঁকড়ে ধরে থাকি প্রতিনিয়ত।
মায়ের শাড়ির আঁচলের গন্ধে মুখ ডুবিয়ে থাকলেই মনে হয় শান্তির নীড় খুঁজে পেয়েছি। মাকে নিয়ে লিখতে থাকলে শেষ হয় না, হয়তো অনুভূতি গুলো লিখেও প্রকাশ করা যাবে না, হয়তো এই লিখাটা মাকে শোনানো যাবে না, “ভালোবাসি” বলা যাবে না, তবে চুপিসারে মাকে জড়িয়ে ধরে মনে মনেই বলতে পারবো অনেক ভালোবাসি তোমায়!
তোমার স্পর্শ, মাথায় হাত বুলানো, জানো মা এখন তুমি ছাড়া ঘুমটাও ঠিক আসে না! তোমার শরীরের গন্ধে স্পর্শে যে শান্তি, সেটা হয়তো অন্য কোথাও পাবোনা! ভোরের প্রথম আলোর মতো তাপ যে মানুষটা ছড়ায়, যাকে ছাড়া সব নিষ্প্রাণ মনে হয়, যার অসুস্থতায় মনে হয় নিজেই হয়ে যাই তার পথ্য, যাকে ছাড়া মনে হয় আমার অস্তিত্ব নেই সেই আমার মা, আমাদের মা!
উপসংহার কিংবা শেষ তোমায় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ এই আমার দ্বারা হবে না।
লেখক:
মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্মান ৩য় বর্ষ (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ