ঘুম পাড়ানী মাসি-পিসির দিন শেষ,
সাকিব-হাথুরুর নতুন দিনের বাংলাদেশ!
ব্যাটে-বলে দাপুটে বীরত্ব দেখিয়ে ০১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে নিলো টাইগাররা। আইরিশদের হারিয়ে দিলো ৭৭ রানে। এমন বাংলাদেশ কবে দেখেছেন আপনি?
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা বাংলার ওপেনারদের। লিটন-রনি ৪৩ বলে করেছেন ১০০ রান। ওপেনিং ঝড় থামে ১২৪ রানে যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলার সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। ১৬ বছর ধরে টি-টোয়েন্টিতে ২০ বলে বাংলার হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিলো আশরাফুলের দখলে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে লিটন ফিফটি তুলে নিলেন মাত্র ১৮ বলে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৭ ওভারের খেলা নির্ধারিত হয়। লিটনের ৮৩, রনির ৪৪, সাকিবের ৩৮* আর হৃদয়ের ২৪ রানে ০৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের পাহাড় গড়ে টাইগার স্কোরবোর্ডে।
২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু ২২ গজে থিতু হতে পারে নি কেউ। প্রথম থেকেই টাইগার বোলাররা একে একে আইরিশ উইকেট পকেটে পুরতে থাকেন। কাপ্তান সাকিব আল হাসান পান টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফারের দেখা। ০৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ০৫ টি উইকেট। সেই সাথে আরেকটি রেকর্ড নিজের একার করে নেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে দুনিয়ার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন বাংলার এই পোস্টার বয়। টাইগার পেসার তাসকিন ০৩ টি ও হাসান মাহমুদ ০১ টি উইকেট নেন।
১৭ ওভারে ০৯ উইকেটের বিনিময়ে আইরিশরা করে ১২৫ রান। দলের হয়ে ক্যাম্ফার করেন ৩০ বলে ৫০ রান। বলার মতো এই এতটুকুই শুধু আইরিশদের। বাকি গল্প সাকিব-হাথুরু বাহিনীর।
ব্যাটে-বলের রাজত্বের দিনে সাকিব হোন ম্যাচ সেরা আর দুর্দান্ত ৮৩ রানের বদৌলতে লিটন হয়েছেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার।
হাথুরুসিংহ আসার পর থেকেই নতুন বাংলাদেশ দেখছে সবাই। একেবারে ভয়-ডয়হীন ক্রিকেট খেলছে বাংলা। টানা ০৫ টি টি-টোয়েন্টিতে আনবিটেন সাকিবরা। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ক্রিকেট বিশ্বকে চোখ রাঙানি দিচ্ছে বাংলাদেশ। হে ক্রিকেটবিশ্ব, এই নতুন দিনের বাংলাদেশ ভয় করতে শিখো!