মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের -এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
রবিবার সকাল ৬ টায় সূর্যোদয়ের সাথে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সকাল ১১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের -এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিন।
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য নেছার আহমদ তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের যাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট নিহত হয়েছেন তিনি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যারা একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লড়াই সংগ্রাম করছেন। দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের সার্মথ্য অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। তিনি প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
কেকে/জাওয়াদ