দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকা বাংলাদেশের এক নারী ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলের বাইরে থাকা আরেক নারী ক্রিকেটার এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এই ব্যাপারে বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, বিষয়টি তারা অবগত। তবে এটি তদন্ত করার পুরো দায়িত্ব আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের, ‘আমাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা যে ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তিনি নিয়ম অনুযায়ী সেটা সঙ্গে সঙ্গে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে (আকসু) জানিয়েছেন। এখন বাকিটা আকসুর বিষয়। এই বিষয়টি ডিল করার এখতিয়ার আমাদের থাকে না। এটা পুরোটাই আসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট দেখবে। তবে আমরা অবগত আছি।’
বেসরকারি টেলিভেশন যমুনা টিভির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলি আক্তার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের এক সদস্যকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন। সেই ক্রিকেটার তাতে রাজী হননি। দুজনের কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ করে গণমাধ্যমটি।
কোন ক্রিকেটারকে ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট বা ম্যাচের কোন তথ্য ফাঁস করার প্রস্তাব দেওয়া হলে দ্রুতই তা দুর্নীতি বিভাগকে জানানোর কড়া বাধ্যবাধকতা আছে আইসিসির। আইসিসির স্বাধীন দুর্নীতি দমন ইউনিট এসব তথ্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে নেয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়ে কোন ক্রিকেটার তা গোপন করলেও আছে শাস্তির বিধান। তিনবার এরকম প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন রাখায় শাস্তি পেতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে।